• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৮ অপরাহ্ন |
  • Bangla Version
নিউজ হেডলাইন :
করোনা শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের বেশি, মৃত্যু ১ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার  অভয়নগরে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ অভয়নগরে সরকারীভাবে ধান চাল সংগ্রহের উদ্বোধন অভয়নগরে মেধা অন্বেষন ও কুইজ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত অভয়নগরে দুদক কর্তৃক সততা স্টোরের অর্থ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আশুলিয়া টু চান্দুরা চৌরাস্তা যানজটের দুর্ভোগ,,,  অভয়নগরে মাধ্যমিক পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানকে সংবর্ধনা যশোর গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)অভিযান চালিয়ে ৪ বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার সহ আটক -১ অভয়নগরে পায়রাহাট ইউনাইটেড কলেজ শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি অর্জনে আনন্দ শোভাযাত্রা নড়াইলের ইউপি চেয়ারম্যান  মোস্তফা কামাল’কে গুলি করে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক -৪ সুষ্ঠ ভোটে ডিজিটাল পদ্ধতি দরকার আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টায় ছয় জনের মরদেহ উদ্ধার ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ খেলা হচ্ছে না তাসকিনের, বিকল্প ভাবনায় হাসান দুই সিনেমা নিয়ে ফিরছেন আফরান নিশো

ব্রহ্মপুত্র নদে পুণ্যার্থীদের ভিড়

গাইবান্ধা প্রতিনিধি গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানি বন্দর ও ফুলছড়ি উপজেলার বালাসীঘাট ও তিস্তামুখঘাটে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী স্নান। মঙ্গলবার ভোর ৪টা থেকে স্নানের লগ্ন শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। হিন্দু পঞ্জিকামতে চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষরা পাপ মোচনের আশায় পবিত্র অষ্টমী স্নানে অংশ নেন।। স্নানের লগ্ন শেষ হয় বিকেল ৪টা ৫৬ মিনিটে।

মঙ্গলবার সকাল জেলা সদরসহ আশেপাশের উপজেলাগুলো থেকে পুণ্যার্থীর পদচারণে মুখর হয়ে উঠেছে পুরো ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়। পুণ্যার্থীরা পাপ মোচন ও পুর্ণ লাভের আসায় ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানে নেমেছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুণ্যার্থীদের চাপ বাড়তে থাকে। প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে ঐতিহ্যবাহী এই অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়।এ উপলক্ষে ওইসব এলাকায় ঐতিহ্যবাহী অষ্টমী মেলা অনুষ্ঠিত হয়। দূর-দূরান্ত থেকে খুদে ব্যবসায়ীরা ব্রহ্মপুত্রের বালুর ওপর তৈরি করেছেন নানা রকম পণ্যের স্টল। নদের কূল ধরে বসেছে মাটির জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন রকমের দোকানপাট। বিভিন্ন দেব-দেবীর মূর্তি, পুতুল, বাঘ, নৌকা, খুরমা বাতাসা, চিনির তৈরি জীবজন্তুর প্রতিকৃতির শ্বাস, হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য।

স্থানীয়রা বলেন, সকাল থেকে স্নানোৎসবে অংশ নিতে গাইবান্ধা সদরের কামারজানি বন্দরসহ ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাসীঘাট এবং গজারিয়া ইউনিয়নের তিস্তামুখঘাটে পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন। নারী-পুরুষ পুণ্যার্থীরা সড়ক পথ ও নৌপথে স্নানে অংশ নিতে আসেন। ঘাটগুলোতে পুরোহিতের কাছে মন্ত্রপাঠ করে স্নানে নেমে পড়েন তারা। স্নান উপলক্ষে এসব ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ের ঘাটগুলোতে কড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

ভক্তরা বলেন, এই দিনে নদীতে স্নান করলে ভগবান সব পাপ থেকে মুক্ত করে দেন। তাই পাপমুক্তির আশায় প্রতি বছর এখানে আসেন তারা। দেশ ও জাতি যেন সকল দুর্যোগ থেকে মুক্তি লাভ করে এবং ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে আমরা সবাই যেন জাতির কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে পারি এই কামনাই করেন সৃষ্টিকর্তার কাছে।

এই স্নান উৎসব কমিটির সহ-সভাপতি তপন কুমার এনি বলেন, প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন স্থান থেকে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থী ব্রহ্মপত্র নদের পাড়ে এসেছেন। দেশ ও জাতির মঙ্গলসহ পারিবারিক শান্তি কামনা করে অনুষ্ঠিত হয় অষ্টমীর পুণ্য স্নানোৎসব। অষ্টমীর স্নান উপলক্ষে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.